উখিয়া নিউজ ডটকম::
আসন্ন ৪ জুন ইউপি নির্বাচনে উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে বড় দু’দল আওয়ামীলীগ-বিএনপি তাদের নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করলেও দলীয় এসব প্রার্থীদের টেনশন কমেনি বরং বেড়েছে। দু একটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীদের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রত্নাপালং ইউনিয়নে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা খাইরুল আলম চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল হক আমিন, পালংখালী ইউনিয়নের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে এ তিনটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে এসব প্রার্থীরা।
সুত্র জানায়, বিএনপি দলীয় নেতা খাইরুল আলম চৌধুরীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে রত্নাপালং ইউনিয়নে। বিগত ২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি আব্বাস উদ্দিন ও নুরুল কবির চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। নির্বাচন সমন্বয় করে ভুমিকা রেখেছেন বিজয়ী হতে। এবার তিনি নিজে বিএনপি দলীয় প্রার্থী তালিকায় ছিলেন। কিন্ত রত্নাপালং ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়েছে জামায়াত নেতা নুরুল কবির চৌধুরীকে। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট ভিক্ষায় নেমেছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। বিএনপির একটি অংশও নেমেছেন তার পক্ষে। তাছাড়া এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া খাইরুল আলম চৌধুরীর নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক ও রয়েছে রতœাপালং ইউনিয়নে। এতে বেকায়দায় রয়েছেন বিএনপি দলীয় প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী।
এদিকে হলদিয়া পালং ইউনিয়নেও হয়বরল অবস্থা। এতদিন সরকারদলীয় প্রার্থী হিসেবে যারা লাইনে ছিলেন তারা ছিটকে পড়েছেন। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোটভাই অধ্যক্ষ শাহ আলমকে। আলোচনায় না থেকেও হঠাৎ করে তার এ মনোনয়ন দীর্ঘদিনের আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা মেনে নিতে পারছেন না। তাই এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল হক আমিন। এদিকে পালংখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলী-বিএনপি দলীয় দু ,প্রার্থীই স্বতন্ত্র প্রাথীর্ আতংকে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে বিএনপি থেকে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ধানের শীষের প্রাথী করা হয়েছে বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন মেম্বারকে। তাই তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত তালিকায় এসেছেন শাহাদাত হোসেন জুয়েল। মনোনয়ন না পেয়ে এ ইউনিয়নে স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন বিএনপি নেতা গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহামদ। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে সাধারন জনগনের পাশে থেকে গফুর উদ্দিন চৌধুরী গন মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তাছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে এলাকার ছাত্রসমাজের মধ্যে আলাদা বলয় তৈরী করেছেন আলী আহামদ। সে দিক বিবেচনা করলে এ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের জিতে আসা কঠিন হবে। হলদিয়া ও পালংখালী ২ টি ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত নবীন ও রতœাপালং ইউনিয়নে প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল আলম চৌধুরীকে কিভাবে দলীয় প্রার্থীরা সামলান তা সময়ই বলে বলে দেবে। আগামী ৪ জুন ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। উখিয়া উপজেলায় সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৬ জন। তৎমধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৬শ ৩৪ জন, রতœাপালং ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১শ ২২ জন, জালিয়াপালং ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৪শ ২৬ জন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৪ শ ১১ জন ও পালংখালী ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪শ ২৩ জন।
পাঠকের মতামত